মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ আদায় করে ঘরে ফিরছে আদম আলী। কি যেন মনে করে আবার মাঠের দিকে চলতে লাগলেন। গ্রামের সবাই তাকে আদর করে আধা বলে ডাকে। পেয়ার করে ডাকে বলে তিনি কিছু মনে করেন না। আদম আলীর নাম ডাক ভালই আছে গ্রামে। গঞ্জে চাউলের ব্যবসা করে অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। একমাত্র ছেলেকে গত ফাল্গুনে বিয়ে করিয়েছেন । চরিত্রের দিক থেকে বলতে গেলে আদম আলীকে গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই পছন্দ করতো না। টাকার কোন অভাব নেই তারপরও যৌতুকের জন্য একমাত্র ছেলের বউয়ের উপর অমানসিক নির্যাতন করে প্রতিদিন।
শীতের দিন তাই কুয়াশায় ঢাকা চারিপাশ। কুয়াশার মিছিলে এক হাত দূরের কিছু ঠাহর করা যায়না। একলা মনে আদম আলী মাঠের দিকে হেঁটে চলছিলো। হঠাৎ কুয়াশার চাঁদর ভেদ করে তাঁর পথ আগলে দাঁড়ালো করিম মিস্ত্রি। আদম আলীর হাতে ধরে বলল বেয়াই সাহেব, আমার মাইয়াডারে একবার আমার বাড়িতে যাইতে দেন। শুনছি যৌতুকের টাকার জন্যে ওরে আপনেরে খুব মারেন। আমি কথা দিতেছি সামনের ফাল্গুনেই আপনের সব পাওনা টেকা দিয়া দিমু।
আদম আলী হাত ছুটিয়ে বলল, দূর মিয়া এক মুখে দুই কথা কইছো তুমি। টাকা দেওনের কথা কইয়া এহনো টেকা দেওনাই। আগে টাকা আনো তারপর মেয়ে দিমু কিনা ভেবে চিনত্দে কইরা দেখুম। করিম মিস্ত্রত্দী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলল বেয়াই সাহেব, আপনি তো জানেন আমি এহন আর কাম করতে পারি না। বয়স হইছে আগের মত গতর খাটাইতে পারিনা বইলা কেউ আমারে কামলা নেয় না। আমার পৈতিক ভিটাটা ছাড়া আর কিছুই নাই। আপনে সেইটা নিয়ে নেন তবুও আমার মাইয়াডারে মাইরেন না।
আদম আলী নাক কচলিয়ে বলল তোমার ঐ জায়গার দাম আমার পাওনা টাকার অর্ধেকও হইবো না মিয়া। এহন যাও তোমার লগে কথা কইতেও আমার ভালা লাগে না। আদম আলী ধাক্কা মেরে করিম মিস্ত্রিকে শরিয়ে দিয়ে হাঁটতে লাগলো। করিম মিস্ত্রি ৰতবিৰত মন নিয়ে আদম আলীর চলার পানে চেয়ে রইলো।
মিয়াদের পাকা রাসত্দাটা ছেড়ে এবার সরম্ন কাঁচা রাসত্দাটায় নামলো। উদ্দেশ্য আলু ৰেতটা দেখে আসা। ইদারিং আলু চোরের সংখ্যা বেড়ে গেছে। সদ্য আলূ গুলো বড় না হতেই চোরের খপ্পরে পড়ে যায়। আর মালিকের এত কষ্ট, শ্রম সবি বিধা যায়। আলু ৰেতের কাছে যেতেই, আদম আলীর মনে হলো কে যেন ৰেতের আইলে বসে কিচু একটা চিব্বুচ্ছে। আশে-পাশে তাকালো আদম আলী। জনশূন্য চারিপাশ দেখে বেশ ভয় পেয়ে গেলেন তিনি। তবুও সাহস পুরোপুরি হারাতে দিলেন না। আসত্দেত্দ আসত্দে এগিয়ে গেলেন। সামনে যেতেই দেখে তেরো চৌদ্দ বছরের একটি ছেলে। গায়ে ছেঁড়া জামা, আইলে বসে কাঁচা আলু চিবিয়ে খাচ্ছে। ব্যপারটা বেশ রহস্যজনক মনে হলো আদম আলীর কাছে। ছেলেটা এভাবে কাঁচা আলূ খাচ্ছে কেন? লুঙ্গিটা ডান হাত দিয়ে ধরে ছেলেটার দিকে এগিয়ে গেল। কাছে গিয়েই জিজ্ঞেস করলো, এই ছেলে তোর কি নাম? ছেলেটি উত্তর না দিয়ে আলূ খাওয়া থামিয়ে ৰেতের আইলে দাড়ালো।
আদম আলী, ফের প্রশ্ন করলো কেরে বাবা তুই? এই ভোর বেলায় আমার আলু ৰেতের কাছে কি করছ, চুরির মতলব আছে নাকি?
ছেলেটি এবার আদম আলীকে অবাক করে দিয়ে তার কাঁধে থাকা গামছাটা ছিনিয়ে নেয়। তারপর সেটা দিয়ে নিজের ধুলো কাঁদা মাখা হাত মুখ সুন্দর করে মুছে। আদম আলীতে চিৎকার করে বলে, সর্বনাশ হয়ে গেল। এই ছেলে আমার গামছা দে...দে বলছি।
ছেলেটি এবার আইল ছেড়ে ৰেতের মাঝখান দিয়ে হাঁটতে লাগলো। আদম আলী মনে মনে ভাবলো পাগল নাকি। সে খুব ভাল করে জানে পাগল ৰেপানো যাবে না তাহলে তাঁর ৰেত আসত্দ রাখবে না। আদম আলী আইল ধরে গিয়ে ছেলেটির সামনে দাঁড়ালো।
এই ছেলে তোর গ্রাম কোনডা?
ছেলেটি আঙুল দিয়ে পশ্চিম দিকে দেখালো, কি যে দেখালো আদম আলী আগা মাথা কিছুই বুঝলো না। ছেলেটি আবার হাঁটতে লাগলো।
কোথায় যাচ্ছ বাঁচাধন?।
আমি কোথায় যাই সেটা দিয়ে আপনার কাম কি?
আদম আলী বলল কাম কি? সেইটা পরে না হয় কমু।
তাইলে পরেই শুইনেন, কেমন। ছেলেটি উত্তর দেয়।
আদম আলী এবার ছেলেটির পথ ভালোমত আগলে ধরে। কোথায় যাচ্ছে সেটা না বললে তাকে যেতে দেবে না।
ছেলেটি বলল, জানাটা কি খুব জরম্নরী?
জরম্নরী দেইখাইতো জানতে চাইতাছি। উত্তর দেয় আদম আলী।
ছেলেটি বলল, থানায় যাচ্ছি !
থানার কথা শুনে আদম আলীর কলিজার পানি শুকিয় গেল। থানায় কেন যাচ্ছ? আমার সাথে ফাইজলামি করো না?
ছেলেটি আবার বলল, বিশ্বাস করলে করেন না করলে নাই, আমার পথ ছাড়েন।
আদম আলী নাছড় বান্দা, না শুনে ছাড়বেই না। তাই সে আবার প্রশ্ন করলো কোথায় যাওয়া হচ্ছে হ্যা? চো বলে কিন্তু গ্রামবাসীকে ডেকে আনতো। তারপর আসত্দ ধোলাই দেবে তোমায়।
ছেলেটি এবার গেঞ্জির নীচ থেকে রক্ত মাখা একটা ধারালো ছুড়ি বের করলো।
ছুড়ি দেখে তো আদম আলীর মৃগীরোগ ছাড়াই শরীল কঁ্াপতে লাগলো।
ছেলেটি ছুঁড়িটা আদম আলীকে দেখিয়ে বলল, এটা কি দেখছেন?
আদম আলী ছুঁড়ি দেখে এক হাত পিছিয়ে গেল। হু বাবা দেখছি, এইটা তুমি কি করো? প্রশ্ন করে আদম আলী।
আমি একটা মানুষ খুন করেছি। উত্তর দেয় ছেলেটি।
খুন.....চমকে উঠে আদম আলী। এইটুকু ছেলে...আবার মানুষ খুন করেছে। বিশ্বাস হচ্ছে না আদম আলীর কাছে আর এই কথাটা হঠাৎ আদম আলীর মুখ থেকে বেরিয়ে গেল। ছেলেটা এবার আদম আলীর আরো কাছে এসে বলল আপনাকে খুন করে দেখাবো। না......না...........না লাফিয়ে পেছনের দিকে চলে যায় আদম আলী। ছেলেটা এবার আদম আলীর গামছা দিয়ে ছুঁড়িতে থাকা জমাট বাধা রক্ত আসত্দে আসত্দে মুছে ফেলার চেষ্টা করে। আদম আলী সাহস করে আবার সামনে আসে।
আচ্ছা বাবা বলতো কেন তুমি মানুষ খুন করলে?।
ছেলেটা এবার বলল, তা শুনে আপনার লাভ কি?
আদম আলী বলল, লাভ কি সেটা পড়ে বলবো। আগে বল তুমি কারো খুন করছো? কেন করছো?
আপনি তারে চিনবেন?
বলনা দেখি চিনি কি না।
বসুন বলছি।
কোথায় বসবো?।
কেন ৰেতের আইলে বসবেন, বসুন। ধমক দেয় ছেলেটি।
ধমক খেয়ে বসে পড়ে আদম আলী।
ছেলেটি পাশ দিয়ে বসে। চোখ বন্ধ করম্নন।
আদম আলী ভয় পেয়ে যায়, বাবারে আবার আমারে মারবা নাতো।
এই কথা শুধু শুনেই বুঝবেন না, তাই কিছুটা কল্পনা করে দেখতে হবে।
আদম আলী মনে মনে ভাবলো, ইচ্ছে করেই বুঝি ফাঁদে পা দিলাম।
তারপর ছেলেটি বলতে থাকে তার জীবনের সবচ্ছে ভয়ংস্কর সময়ের কথা গুলো।
২.
আমার মা একজন যৈনকর্মী ছিলেন। কিন্তু মা আমাকে কখনো সে কথা বলেনি। শুধু তাই নয়, আমার বাবার কথা জানতে চাইলে তাঁর মা বলতো বাবা নাকি বিদেশে থাকে। বছরের পর বছর চলে যায়, বাবা আর ফিরে আসে না। মহলস্নার একটি প্রাইমারি স্কুলে আমি ভর্তি হই। আমার কোন বন্ধু ছিল না। দু' তিন মাস পরপর মা মহলস্নায় পাল্টায় বলে আমার স্থায়ী কোন বন্ধু হতো না। মা প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলা ঘর থেকে বেরিয়ে যেত। সারারাত আর ঘরে ফিরতো না। সকাল বেলা এসে গোসল করে ঘুমিয়ে পড়তো। একদিন আমি মাকে সাহস করে জিজ্ঞেস করে ফেলি।
মা তুমি রাতে কোথায় থাকো? কি করো?
আমার কথায় মা বলে সে হাসপাতালে নার্সের চাকুরী করে। তাই প্রতি রাতে তাকে ডিউটি করতে হয়। মা ছাড়া আমার নিঘুম রাত কাটতো প্রতিদিন। জানালা খুলে আকাশের তাঁরা দেখতাম। একেকটি রাত অনেক দীর্ঘ মনে হতো। বাতাসের সাথে কথা বলতাম, মায়ের ছবিটা বুকে ধরে। মায়ের একটু আদর পেতে চাইতাম। রাসত্দায় যখন দেখতাম কোন ভিখারী তার ছেলেকে নিয়ে ভিৰে করছে। তখন আমি ভাবতাম হয়তো আমার চেয়ে ওরা ঢের সুখি। আর যাই হোক মাকে পাশে পাচ্ছে। এদিকে আমার মা কয়েক মাস পরপরই মহলস্না পাল্টে নতুন মহলস্নায় যায়। এর কারণ আমি কখনো জানতে চাইনি। একদিন আমার স্কুলের এক বন্ধু সবার কাছে বলে বেড়াতে লাগলো, আমার মা নাকি যৈনকর্মী, সেটা ও প্রমান করতে পারবে। টিচার থেকে শুরম্ন করে স্কুলের সবাই বিষয়টি জেনেছে। আমি যৈনকমীর অর্থ বঝিনি তাই সে সেদিন বাড়ি ফিরেই মাকে প্রশ্ন করলাম। মা যৈনকমীরা কি করে? আমার মুখে এমন কথা শুনে মা চমকে যায়। বলনা মা ওদের কি কাজ? মা এবার নিরবতা ভেঙে বলে এটা খুব খারাপ কাজ। তাহলে তুমিও কি তাই করো? মা আর কোন কথা বলে না। আমি বুঝে নেই মায়ের না বলা সেই হ্যা কথাটা। সত্য কখনো গোপন থাকেনা। মায়ের দু'ঘাল বেঁয়ে জল পড়তে থাকে। আমি আবার প্রশ্ন করি, মা তুমি কেন এমন করলে? মা এবার আমার হাত ধরে বলে। আমার কোন দোষ নেইরে বাপ। আমার বিয়ে হয়েছিল পারিবাকিভাবে। আট-দশটা নারীর মত আমিও সুন্দর একটা ঘর বাধার স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু.........। কিন্তু কি মা? আমরা অনেক গরীর ছিলাম, বাবা অনেক কষ্টে আমাকে যৌতুক দিয়ে বিয়ে দেয়। পাষন্ড স্বামী বিয়ের এক মাস না যেতেই আবার টাকার জন্য পাঠায়। বাবা মেয়ের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে ভিটে মাটি বন্ধক দিয়ে টাকা আনে। কিছু দিন ভালো যায় আবার শুরম্ন হয় আমার উপর নির্যাতন। কিন্তু এবার আর কেউ আমাকে টাকা দেয়নি। আশ্রয়ও দেয়নি কেউ। আমার উপর এমন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবা পরলোকগমন করেন। স্বামীর ঘর থেকে আমাকে তারিয়ে দেয়। যাওয়ার মতো কোন জায়গা নেই আমার। এই সমাজ তখন আমার দিকে মুখ তুলে তাকায়নি। কোথাও কোন কাজ জুটেনি। এভাবেই কখন যে এই আাঁধার পথকে বেঁছে নিয়েছি তা এখন নিজেও ভুলে গেছি। কথা গুলো বলে মা কাঁদতে লাগলেন। আমি মায়ের কাছে গিয়ে বললাম, মা আমি তোমাকে ভুল বুঝিনি। সত্যি আমি তোমাকে ভুল বুঝিনি। আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। মা আমাকে বুকে জড়িয়ে নিলো। আমার মাথায় হাত রেখে বলল, আমি আর কোনদিন এই পথে পা বাড়াবো না......কোনদিন না। আমার জন্য তোর ভবিষ্যৎ আমি নষ্ট হতে দেবো না। সেদিন রাতে আমি অনেক কেঁদেছিলাম হয়তো মা-ও কেঁদেছিলেন। সারারাত জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিলাম, খোলা আকাশের দিকে।
এই বলে ছেলেটি একটু থামলো। আদম আলী মন দিয়ে শুনছিলো ছেলেটির কথা গুলো। ছেলেটি থামতেই বলল, তারপর কি হলো..............
তারপর আর কি পরের দিন স্কুলে যেতেই সহপাঠীরা আমাকে যৈনকমর্ীর ছেলে বলে ৰেপাতে লাগলো। আমি সবাইকে বোঝাতে চাইলাম, আমার মা ইচ্ছে করে এই পথে আসেনি কিন্তু কেউ আমার কথা শুনলো না। আমার মা সম্পর্কে বাজে কথা বলতে লাগলো। বেশি বলতো আমাদের পাড়ার কালা মিয়ার ছেলে সৈকত। সারাৰণই প্রায় গ্যানর গ্যানর করতো আর বাজে কথা বলতো। আমার কাছে খুব খারাপ লাগতো। মা যাই হোক পৃথিবীর কোন সনত্দানই মায়ের সম্পর্কে বাজে কথা বললে মাথা ঠিক রাখতে পারে না। অনেক বলেও কাউকে বুঝাতে পারি না যে আমার মায়ের কোন দোষ নেই, সব দোষ এই সমাজের। এখন আমার মা ভাল হয়ে গেছে কেউ শুনেনা এই কচি মুখের কথা। শেষে মাকে বললাম, মা বলল এই মহলস্না ছেড়ে দিয়ে নতুন মহলস্নায় যাবে। আমি মাকে বললাম আমি আর একটু বড় হয়ে নি তোমার আর কোন কষ্ট থাকবে না। আমি কাজ করে তোমায় খাওয়াবো তবু খারাপ কাজ দেবোন। আমার কথা শুনে মা কেঁদে ফেললেন। আনন্দের অশ্রম্ন এসে আমার চোখে গড়াগড়ি খেতে লাগলো। পরদিন স্কুলে গিয়ে দেখি সৈকত আমার মা সমর্্পকে বাজে কথা লিখে ছেলে-মেয়েদের মাঝে বিলি করছে। স্যারের কাছে জানালাম কোন বিচার পেলাম না। তাই আমি একটা উদ্যেগ নিয়ে ফেললাম। সৈকত কে মেরে ফেলবো। ঘরে একটা ছুঁড়ি ছিল, সেটা নিয়ে সেদিন রাতেই সুযোগ বুঝে সৈকতকে মেরে ফেললাম আমি। তারপর পালিয়ে এই গাঁয়ে চলে আসি। কোথাও যাওয়ার যায়গা নেই আমার। তাই এই শীতের মধ্যে রাসত্দার পাশে ঘুমিয়ে ছিলাম আমি । শীতে একেবারে জমেই গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আর বাঁচবো না। ৰুদায়, তৃষ্ণায় আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো। বার বার মায়ের কথা মনে পড়ছিলো। পুলিশের ভয়ে বনে-জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতাম। রাত আসলেই যেন মনে হয়, দীর্ঘ রাত আমার জীবনে আসছে। জানিনা কাল সকালে আমার ঘুম ভাঙবে কিনা। এই বলে ছেলেটি উঠে দাঁড়ালো।
আদম-আলীর দিকে তাকিয়ে বলল, আমি জানি মানুষ খুন করা অন্যায়। আর তাই নিজের অন্যায়ের শাসত্দি পেতে যাচ্ছি। আমি এ-ও জানি সবাই আমার অন্যায়টাকেই দেখবে কিন্তু কেন আমি এই অন্যায় কাজটা করলাম সেটা কেউ দেখবেনা। না পাল্টাবে সমাজ না কমবে অন্যায়। ছেলেটি এবার হাঁটতে শুরম্ন করলো। আশে-পাশে কুয়াশা কেটে গেছে। আদম আলী কখন কেঁদে ফেলেছে নিজেও টের পায়নি। শুধু চেয়ে চেয়ে ছেলেটির চলে যাওয়া দেখছে। এক সময় ছেলেটি দূর গাঁয়ের কুয়াশার মাঝে হারিয়ে গেল। আদম আলী উঠে দাঁড়ালো বড্ড বেশি ভুল হয়ে গেছে তার। যৌতুকের জন্য সে কত বড় একটা পাষন্ড কাজ করতে যাচ্ছিলো। হয়তো তার কারণেই আরেকটি জীবন অন্ধকারে ডুবে যেত। বেয়াই-এর কাছে অন্যায়ের জন্য ৰমা চাইতে হবে। ফুলের মত ছেলের বউটাকে যৌতুকের জন্য কত কষ্ট দিয়েছি। আর নয়, এবার আমার চোখ খুলে গেছে। তাড়াতারি বাড়ির দিকে ছুটে যায় আদম আলী। পেছনে আইলে পড়ে থাকে তার গামছাটা।
১৯ নভেম্বর - ২০১১
গল্প/কবিতা:
৫ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪